স্যন্দন পত্রিকা’র সাংবাদিক পরাশর বিশ্বাস ত্রিপুরার ধলাই জেলায় রাতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শনিবারেই তিনি কোভিড মুক্ত হয়ে চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে ফিরেছেন।
পরাশরকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে। শরীরের নানা জায়গায় আঘাত লেগেছে তার।
পরাশর ধলাই জেলার আমবাসা থেকে সাংবাদিকতা করেন।
শুক্রবারে দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমে স্পেশাল ইকনমিক জোন(এসইজেড)-র সূচনা করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সেখানে তিনি বলেছেন, “কিছু কিছু পত্র-পত্রিকা অতি উৎসাহিত হয়ে ত্রিপুরার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। ইতিহাস তাদের মাফ করবে না, আমিও তাদের মাফ করব না। ইতিহাস মাফ করবে না, ত্রিপুরাবাসী মাফ করবে না, আমি বিপ্লব দেবও মাফ করব না। আমি যা বলি, তা করে যাই, ইতিহাস সাক্ষী।”
মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথার প্রতিক্রিয়ায় পরাশর বিশ্বাস ফেসবুক লাইভ করেছিলেন শনিবারে। দীর্ঘ সময় লাইভে বলেছেন পরাশর। তার মূল কথা ছিল, সংবাস মাধ্যম নিয়ে যেন এমন না বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরাশরকে কারা আক্রমণ করেছে করোনা মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আসার দিনেই, তা এখনও জানা যায়নি। চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে ফিরে আসার পরেও কিছু গাইডলাইন মেনে চলতে হয়, নিয়ম সেরকমই। এমন অবস্থায় আক্রমণে প্রশ্ন তৈরি হল।
শনিবারে দক্ষিণ ত্রিপুরার ঋষ্যমুখের মতাই এলাকায় সাংবাদিকরা জলের অভাবের খবর আনতে গেলে হুমকির মুখে পড়েন। ক্যামেরায় হাত দেয়া হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ঝুঁকিতে পড়ে যান সাংবাদিকরা।
ত্রিপুরায় বছর তিনকে আগে দুই সাংবাদিক খুন হয়েছিলেন, সেই দুই মামলার এখনও সুরাহা হয়নি।
COMMENTS