বাদল চৌধুরী ইস্যুতে উত্তাল হল ত্রিপুরা বিধানসভা। ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ত্রিপুরা বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। এটা বছরের প্রথম অধিবেশন। প্রথামাফিক বছরের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় রাজ্যপালের ভাষণের মধ্যে দিয়ে। এদিন অধিবেশন শুরুতেই রাজ্যপাল আর কে বইস লিখিত বক্তব্য পাঠ করছিলেন। সেসময় বিরোধী দলের বিধায়করা বাদল চৌধুরীর গ্রেপ্তারে ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ জানায় বিধানসভায়। বিরোধী সিপিআই(এম) দলের বিধায়কদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্র করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিধায়ক বাদল চৌধুরীকে। সিপিআই(এম) বিধায়করা বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে ওয়েলে নেমে আসেন। অধ্যক্ষের চেয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে বাদল চৌধুরীর গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। তাদের হাতে ধরা ছিল প্ল্যাকার্ডও। বেলা সোয়া এগারটা নাগাদ সিপিআই(এম) বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন। তখনো লিখিত বক্তব্য পড়ছিলেন রাজ্যপাল।
গত বছর ১৩ অক্টোবর পূর্ত দপ্তরের কাজে অনিয়মের অভিযোগে প্রাক্তন পুর্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরী, পূর্ত দপ্তরের প্রাক্ত চীফ ইঞ্জিনিয়ার সুনীল ভৌমিক এবং দপ্তরের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি যশপাল সিং’এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার । সুনীল ভৌমিক গ্রেপ্তার হন এফআইআর দাখিল হওয়ার সাথে সাথেই। বাদল চৌধুরীকে দুই দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিল পাশ্চিম ত্রিপুরা জেলার বিশেষ আদালত। পরে ১৬ অক্টোবর তার জামিন বাতিল হয়। ২১ অক্টোবর অসুস্থ বাদল চৌধুরী আগরতলার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হন। সেদিন রাতেই পুলিস তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ছিল বুড়ো আঙুলের টিপ সই নিয়ে। ৩০ তারিখ পর্যন্ত ওই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন চৌধুরী। ৩০ অক্টোবর পুলিস তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে এনে আদালতে তোলার চেষ্টা করে। আগরতলা হাসপাতাল থেকে আনার কিছুক্ষণের মধ্যে থানাতেই ফের অসুস্থ হয়ে যান বাদল। তাকে আর আদালতে তোলা যায়নি সেদিন। ভর্তি করানো হয় সরকারী জিবিপি হাসপাতালে। ৮ নভেম্বর শেষ পর্যন্ত আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় সিপিআই (এম)-এর এই নেতাকে। সেদিন থেক এখন পর্যন্ত আটক আছেন তিনি।
বাদল চৌধুরী গ্রেপ্তার হবার পরেও সাড়া রাজ্যে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল সিপিআই(এম)।
ছবি ব্যবস্থাপনায় অভিজিৎ
আরও খবর এই নিয়েঃ
কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে মানিক সরকার
আগরতলা, ত্রিপুরা
COMMENTS