রাজধানী শহরে শক্তি দেখাল ত্রিপুরার বিরোধীরা।
ত্রিপুরা গণমুক্তি পরিষদ (জিএমপি)
আগরতলায় মিছিল এবং সমাবেশ করল।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ফিরিয়ে নেয়া, স্বশাসিত জেলা পরিষদের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা,সব শূন্যপদে নিয়োগ, রেগার কাজ বাড়ানো, সামাজিক ভাতা দেয়া, নতুন সরকারি চাকরি বন্ধ না করা, রাজ্যের গণতন্ত্র বাঁচানো,ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে পথে হাঁটল জিএমপি।
দুর্গাপুজার আগে আগরতলায় নজরকাড়া মিছিল-সমাবেশ করেছিল বামপন্থী ছাত্রযুবরা। তারপর ত্রিপুরার অনেকেই ভবেছিলেন বামেরা বোধহয় এবার গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে। সেই ছাত্রযুব মিছিল সমাবেশের পর তেমন দাগ কাটার মতো জমায়েত আর করেতে পারেনি সিপিআই(এম)। আজ জিএমপি তা পুসিয়ে দিয়েছে। এই মিছিল-সমাবেশ ডিসেম্বর মাসেই হওয়ার কথা ছিল। ত্রিপুরার পরিস্থিতির জন্য তখন তা পিছিয়ে গিয়েছিল।
দুপুর বারোটায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন থেকে শুরু হয় মিছিল। মিছিলের সামনের দিকেই ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
বিবেকানন্দ ময়দানে হয় সমাবেশ। জিএমপি সভাপতি জিতেন্দ্র চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক রাধাচরণ দেববর্মা,সারা ভারত কৃষকসভার নারায়ন কর এবং অন্যরা বক্তব্য রেখেছেন।
রাজ্যের যুবকদের অপমান করছেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরায় চাকরি চাইবার মতো লোক নেই, তিনি বলে বেড়াচ্ছেন। এটা ত্রিপুরার যুবকদের অপমান। শুধু যুব সম্প্রদায় না, শিক্ষক-কর্মচারী, আরক্ষা বাহিনীর লোকজন অপমানিত-অসন্মানিত। ত্রিপুরার মানুষ জবাব দেবার জন্য তৈরি হচ্ছেন। তারা বলতে চাইছেন, হয় সরকারের নীতি বদলাও, মানুষের ওপর আক্রমণ বন্ধ কর, না হয় মানুষ সরকারই বদলে দেবেন, বলেছেন জিতেন্দ্র চৌধুরি।
বামফ্রন্ট সরকারের সময় কোনও মানুষকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে গন্ধকি খুঁজতে যেতে হয়নি। ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামে পাহাড়ে অভাব,অনাহার শুরু হয়েছে। সন্তান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন মা। এখন সরকার আউট সোর্সিং ধরে লোক নিয়োগ করছে।
ত্রিপুরার মানুষের অধিকার রক্ষার এক মাত্র গ্যারান্টি গণমুক্তি পরিষদ এবং বামফ্রন্ট। এই গ্যারান্টি আর কেউ দিতে পারবে না। ভুল করে যারা বিজেপি আইপিএফটি করছেন তারা মিথ্যা আবেগে জাতি বিদ্বেষের রাজনীতি করছেন। ত্রিপুরার এবং কেন্দ্রের জনবিরোধী সরকারকে উৎখাতের জন্য ডাক দিয়েছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী।
সমাবেশের মাঠেই ছিলেন ৮৬ দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থেকে সদ্য বেরিয়ে আসা বর্ষীয়ান সিপিআই(এম) নেতা বাদল চৌধুরি,বলেছেন “যাদের নিয়ে রাজনীতি হল, সেই পাহাড়ের লোক আগরতলায় এসে আজ চিৎকার বলছেন, তোমরাই আমাদের সর্বনাশ করছ। দু’বছর আগে হওয়া পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আজ টার্নিং পয়েন্ট।”
ত্রিপুরাও হর্নবিল ফেস্টিভ্যাল
আগরতলা, ত্রিপুরা
COMMENTS