তিনটি সিপি(আই)এম অফিস পোড়ানোর ঘটনায় আগরতলা শহরে প্রতিবাদ মিছিল হল শুক্রবারে। সিপি(আই)এম’র ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক থেকে শুরু করে রাজ্য কমিটির নেতারা, এবং সাধারন কর্মী-সমর্থকরা হাঁটলেন প্রতিবাদ মিছিলে। মিছিলে লোক এবং মেজাজ দুটোই ছিল দারুন।
সোমবার রাতে রাজধানী আগরতলার বার কিলোমিটার দূরের নরসিংগড় অফিস, মঙ্গলবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নির্বাচনী এলাকার পূর্ব আগরতলা অঞ্চল অফিস এবং বুধবার রাতে আগরতলারই বাধারঘাট অফিস পুড়িয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সিপি(আই)এম নেতারা অভিযুক্ত করেছেন শাসক বিজেপিকে।
শুক্রবারও আগরতলা শহরে যে মিছিল হয় তার সামনের ব্যানারে লেখা ছিল, “বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা বিভিন্ন সিপিএম(আই) অফিস ভাঙচুর, লুন্ঠন ও পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ধিক্কার জানাতে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ এগিয়ে আসুন”।
যদিও আগেরদিন সিপি(আই) এম’র গৌতম দাশ দাবি করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের মদতেই এবং তার ইশারাতেই সিপি(আই)এম অফিসের ওপর আক্রমণ, লুটপাট এবং আগুন ধরিয়ে দেবার ঘটনা ঘটছে। মুখ্যমন্ত্রী এসব ঘটনা নিয়ে কেন চুপ, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন গৌতম।
শুক্রবার আক্রান্ত নরসিংগড়ের দলীয় অফিস দেখতে যান সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার। তিনি সেই অফিস ঘুরে দেখে দাবি করেছেন, এই ধরনের আক্রমণ বিজেপির দুর্বলতার লক্ষণ। গত দুদিনে তিনি আরও পোড়া অফিস দেখেছেন।
সিপি(আই)এম’র অফিসে আগুন এবং সিপি(আই)এম যে অভিযোগ করছে, তা নিয়ে বিজেপির সদর( আরবান) জেলার সভাপতি অধ্যাপক অলক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘সিপিএম দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের কথা বলে। সিপিএমের মধ্যে এখন দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে লড়াই চলছে। পার্টি অফিসগুলিতে আক্রমণ বা আগুনের ঘটনা আসলে তাদের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারনেই ঘটছে। নিজেদের দোষ অন্যের কাঁধে চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করছেন তারা’।
আগরতলা, ত্রিপুরা
COMMENTS