অপরাধী প্রার্থী কেন? : ক্ষুব্ধ সুপ্রীম কোর্ট

★অপরাধে অভিযুক্তদের কেন নির্বাচনে প্রার্থী করা হচ্ছে ?
★শাস্তি পেয়েছেন এমন ব্যক্তিও ভোটে লড়াই করছেন । কেন এমন হবে ?
★ অপরাধের সাথে যুক্ত ব্যক্তির ভোটে জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকলেই কি তাকে প্রার্থী করতে হবে ?
★রাজনৈতিক দলগুলো কি ভোটে লড়ার জন্য স্বচ্ছ ব্যক্তি খুঁজে পায় না ?

এই প্রশ্ন গুলোই তুলে ধরলেন দেশের সুপ্রীম কোর্ট।

কার্যত দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অপরাধে অভিযুক্ত এবং শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রার্থী করার মানসিকতায় সুপ্রিম কোর্ট ক্ষুব্ধ।

বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ গত চারটি লোকসভা নির্বাচন প্রমান করে দিচ্ছে দেশের সক্রিয় রাজনীতিতে অপরাধীদের অন্তর্ভুক্তি মাতাত্মক ভাবে বাড়ছে।

২০০৪ সালের লোকসভায় ২৪% সংসদ হয় কোনো না কোন অপরাধে শাস্তি পেয়েছেন বা অপরাধ মূলক কোনও মামলায় অভিযুক্ত।

২০০৯ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ৩০% ।

২০১৪ তে ৩৪% ।

এইবারের লোকসভায় এমন সাংসদের সংখ্যা ৪৩% ।

সুপ্রীম কোর্ট খুবই ক্ষুব্ধ। বিরক্তও।

বেঞ্চের মতে রাজনৈতিক দল গুলো কোন যুক্তিতে এরকম আচরণ করছে তা বলার মত অবস্থাতেই নেই।

এই আচরণ পরিবর্তন দরকার। বেঞ্চের অভিমত।

পুরো ঘটনাকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়:

ক. লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের কোনও অপরাধে শাস্তি পাওয়া এবং অভিযুক্ত থাকার পুরো তথ্য প্রকাশ করতে হবে।

খ. এই তথ্যে অভিযুক্ত কোনও প্রার্থীর মামলার নাম্বার , চার্জশিট জমা হয়েছে কিনা ইত্যাদি তথা দিতে হবে।

গ. ‘অপরাধী’ এবং ‘অভিযুক্ত’ প্রার্থীর অপরাধের বিবরণ সব রাজনৈতিক দলকে স্থানীয় ভাষার কোন সংবাদপত্রে এবং জাতীয় কোন সংবাদপত্রে প্রকাশ করতে হবে।

ঘ.দলের সামাজিক মাধ্যমের সব প্ল্যাটফর্মে এই তথ্য আপলোড করতে হবে

ঙ.প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বা মনোনয়ন পত্র দাখিল করার প্রথম দিনের দুই সপ্তাহ আগেই সংবাদপত্র সহ সব প্ল্যাটফর্মে তথ্য দিতে হবে ।

চ. প্রার্থী বাছাইয়ের ৭২ ঘন্টার মধ্যে সব রাজনৈতিক দলকে ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দিয়ে জানাতে হবে যে সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়েছে।

জ.যদি কোন রাজনৈতিক দল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা না দেয় তাহলে কমিশন বিষয়টি সুপ্রীম কোর্টের নজরে আনবে যাতে আদালত অবমাননার বিষয়কে সামনে রেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা আদালত অবমাননা সম্পর্কিত একটি মামলার নির্দেশ দিতে গিয়ে সুপ্রীম কোর্ট এই অভিমত জানিয়েছে।

২০১৮ সালে সুপ্রীম কোর্টের জারি করা নির্দেশ মত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীরা নিজেদের অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য সঠিক ভাবে প্রকাশ করছে না অভিযোগ জানিয়েই উপাধ্যায় মামলা করেছিলেন।

চ.

COMMENTS