১০৩২৩ শিক্ষকরা যাতে খেয়ে পড়ে থাকতে পারে তার ব্যবস্থা করবে সরকার। কিন্তু তাদের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা যাবে না, জানিয়েছেন ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ।
আগরতলার একটি ক্যাবল চ্যানেলে (নিউজ আইকন) সাক্ষাতকার দিচ্ছিলেন, বলেছেন, “সরকার বেআইনি কিছু করবে না। আইনের মধ্যে থেকে যা করা যায় তা করবে। তাদের শিক্ষক হিসাবে কাজ দেয়া যাবে না। শিক্ষকতা ছাড়া কি কাজ দেয়া যায় সে বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে আলোচনা শেষ। তাদের জন্য কিছু একটা করতে যাচ্ছে রাজ্য সরকার।”
তাদের হঠাৎ করে চাকরি দেয়া সহজ কথা না। সারা রাজ্যে প্রচুর বেকার রয়েছেন। তাদের কথাও ভাবতে হবে। সে জন্য সরকার চিন্তা করেছে সমস্ত আইন ঠিক রেখে তাদের জন্য কিছু একটা করা হবে, বলেছেন মন্ত্রী।
“ আমাকে গুলি করে মেরে ফেললেও তাদের আর শিক্ষকতার চাকরি দিতে পারব না। শুধু আমার কেন, পৃথিবীর কারোর ক্ষমতা নেই।” শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য।
“আমারা একবার চিন্তা করেছি তাদের কিছু আর্থিক সাহায্য দেয়া যায় কিনা। এতে অনেকে দ্বিমত পোষণ করেছে। আবার ভাবা হয়েছে তাদের কন্ট্রাক বেসিসে নেয়া যায় কিনা। তাহলে পোস্ট ক্রিয়েশনের প্রশ্ন আছে। তারা যাতে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারে তার জন্য চেষ্টা চলছে। এখন যেমন আছে পরআয় সেরকম যাতে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা করবে সরকার”।
ত্রিপুরার সাবেক বামফ্রন্ট সরকার ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ১০৩২৩ জন শিক্ষক নিয়োগ করে অস্নাতক, স্নাতক এবং স্নাতকত্তোর পর্যায়ে। তাদের চাকরি নিয়ে পরবর্তী সময়ে আদালতে মামলা হয়। ২০১৪ সালের মে মাসে ত্রিপুরা হাইকোর্ট এক রায়ে এসব চাকরি বাতিল করে দেয়। পরবর্তী সময়ে এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কিছু মামলা হয়। এখনো কিছু মামলা ঝুলছে। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ নীতির প্রশ্ন তুলে এসব চাকরি বাতিল করে। পরবর্তী সময়ে তাদের চাকরির মেয়াদ ঠিক হয় ২০২০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। আর দেড় মাস পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারাতে যাচ্ছেন এই শিক্ষকরা।
সর্বশিক্ষার শিক্ষক কর্মীদের নিয়মিত করার ক্ষেত্রে আইনগত জটিলতা রয়েছে। সরকারের সিমপেথি থাকলেও কিছু করা যাচ্ছে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তুলনায় তাদের বেশি বেতন দেয়া হচ্ছে। বলেছেন রতন লাল নাথ।
আগরতলা, ত্রিপুরা
COMMENTS