বামফ্রন্ট আমলে কীভাবে ১০৩২৩ শিক্ষকের চাকরি হয়েছে, কারা কী পেয়ে চাকরি দিয়েছেন, কোন্ অফিসার জড়িত, সেই বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন ত্রিপুরার শিক্ষা ও আইন মন্ত্রী রতনলাল নাথ। “ বাদলবাবু অন্যায় করেছেন, জেলে গেছেন’, রতনলাল নাথের বক্তব্য।
পূর্ত দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রীর নামে মামলা চলছে, সেই মামলা এখনও বিচারাধীন আদলতে, দোষী স্যবস্ত করে রায় বের হয়নি কিছু।
১০৩২৩-র চাকরি আদালতের রায়ে বাতিল হয়েছে। বামগফ্রন্ট আমলে এইসব চাকরি দিতে গিয়ে, ‘নিড’ নামে একটি কোটা নিয়োগ-নীতিতে রাখা হয়েছিল, সেটা সাংবিধানিক নয়, ইত্যাদি বেশ কিছু কারণে ত্রিপুরা হাইকোর্ট চাকরিগুলি বাতিল করে। তবে দুর্নীতির কোনও বিষয় সেখানে ছিল না। এমনকী রাজনৈতিক প্রভাব, ইত্যাদি অভিযোগে থাকলেও, আদালত সেসব দিকে যায়নি। সুপ্রিম কোর্ট পরে আগের রায়ই বহাল রেখেছে।
১০৩২৩ শিক্ষক চারদিন হল আগরতলায় নিজেদের চাকরির নিশ্চয়তার জন্য আন্দোলন করছেন। ফাঁকে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টিকে সামনে রেখে। তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে গত দু’দিন ধরে।
এই শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে নানাভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিভিন্ন নেতা তাদের শুধু নয়, চুক্তিবদ্ধ যেকোনও কর্মচারীর সুরাহা করার কথা দিয়েছিল। আইন সংসশোধন, সংসদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা, এমন নানা কথা শোনা গিয়েছিল। বিজেপি’র নির্বাচনী ইস্তেহার ‘ভিসন ডকুমেন্ট’-এও সমস্যা সমাধানের কথা আছে। শিক্ষকরা সেসব কথা তুলেই আন্দোলন করছেন। তাদের চাকরি ৩১ মার্চ শেষ হয়ে যাবার কথা। রাজ্য সরকার বিকল্প ব্যবস্থা করবে বলছে, তবে কী সেই ব্যবস্থা, সেই ঘোষণা এখনও নেই।
শিক্ষামন্ত্রী ‘বিকল্প’ ব্যবস্থা করার কথা এখনও বলছেন, তবে তার নির্দিষ্ট তারিখ বলছে না। ফেব্রুয়ারির শেষদিকে বলেছিলেন মার্চেই জানানো হবে।
শিক্ষামন্ত্রী , আগের বামফ্রন্ট সরকারই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী , এই বিজেপি-আইপিএফটি সরকারের কোনও ভূমিকা নেই বলেছেন। বামফ্রন্ট সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও এক বছর সময় পেয়েছিল, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেয়নি , তিনি বলেছেন। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মিটিং করে মুখ্যসচিবকে বিকল্প ব্যবস্থার জন্য ফাইল-মুভ করতে বলেছেন, এই মার্চের মধ্যেই ফাইল-মুভ হবে, তিনি জানিয়েছেন।
৯ মার্চ বিজেপি-আইপিএফটি সরকারের দুই বছর হল। সরকারে আসার পর তারা সুপ্রিম কোর্ট থেকে এই শিক্ষকদের আরও কিছুদিন রেখে দিতে অনুমতি এনেছিল, স্কুলগুলিতে শিক্ষকের অভাব আচমকা যেন না হয়, তার জন্য। সেই মেয়াদ ৩১ মার্চ শেষ হচ্ছে , মোটামুটি সতের মাস সময় তারা কাজ করলেন সুপ্রিম কোর্টের সেই অনুমতির পর।
বিজেপি অবশ্য বলেছে ৩১ মার্চের আগে কিছু ঘোষণা দেয়ার আইনি জটিলতা আছে।
COMMENTS