ট্রাকের পেছনে বসানো সিমেন্ট-কংক্রিট মেশানোর ড্রামের ভেতরে ঠেসে ১৮ জন শ্রমিককে পাওয়া গেছে মধ্যপ্রদেশে । উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌতে তারা বাড়ি ফেরার মরিয়া চেষ্টায় ছিলেন।
একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেই ড্রামের ভেতর থেকে এক একজন করে মলিন পোষাকে মানুষ বেরিয়ে আসছেন একটি গর্তমত জায়গা দিয়ে। পুলিশি চেকিংয়ে ধরা পড়েছে এই ঘটনা । পুলিশ কর্মীরা অবাক হয়ে বলছেন, আর কয় জন ! আর কয় জন!
এই শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ট্রাকটির নামে মামলা হচ্ছে। এনডিটিভিসহ এই খবর বেশ কয়েক জায়গায় হয়েছে।
শ্রমিকদের , সাথে তাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের হেঁটে বাড়ি ফেরার খবর, ছবি সারা দেশই দেখেছে। পথে মৃত্যুর খবর হচ্ছে, এখনও। আটকে পড়ে কী রকম অসহায় অবস্থা হলে কেউ দিল্লি থেকে বিহারের জন্য হেঁটে রওয়ানা দিতে পারেন! রোজগার নেই, সাথে ঘরবাড়ি ছাড়াও। সরকারি নির্দেশ কিছু থাকলেও, কার্যত অবস্থা সঙিন শ্রমিকদের। আর সংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের দুর্দশা সবচেয়ে বেশি।
বাইসাইকেলে শয়ে শয়ে কিলোমিটার পাড়ি দেয়ার দুঃসাহস করছেন অনেকেই। মধ্যপ্রদেশের বারাউনি জেলায় বাইসাইকেলে ফিরতে গিয়ে একজন মারা গেছেন শনিবারে, গট দশ দিনে এই জেলায় তিনজন মারা গেলেন। এনডিটিভি লিখেছে।
গত সপ্তাহে ছোট-বড় ৯৪ জনকে এক ট্রাকের পেছনে পাওয়া গেছে, তারা হরিয়ানা থেকে বিহার রওয়ানা দিয়েছিলেন।
শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে অল্প কয়েকটি ট্রেন চলেছে। তবে সেগুলি শুধু তাদেরই নেবে , যাদের সরকার চিহ্নিত করে দেবে। সেরকম প্রথম ট্রেনটি তেলেঙ্গানা থেকে ঝাড়খন্ড রওয়ানা দিয়েছে শুক্রবারে। এক তেলেঙ্গানাতেই ১৫ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক আছেন।
লকডাউনে শ্রমিকদের অবস্থা নিয়ে বামপন্থী সংগঠম সিট্যু ২১ এপ্রিল প্রতিবাদ দিবস পালন করেছে। দাবী রেখেছে, দেশের সরকার যেন শ্রমিকদের দিকে নজর দেয়। সেই সময় বলেছে, ২৭ দিন পরেও পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকাংশই নিজের বাড়ি থেকে দূরে , বিভিন্ন জায়গায় ক্ষুধা নিয়ে আছে। পরের বেলার খাবার কোথা থেকে আসবে, জানা নেই।
।।প্রতীকি ছবি।।
COMMENTS