শিক্ষাবিদ, লেখক ড. আনিসুজ্জামান মারা গেছেন

বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বার্ধক্যজনিত কারণে বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সেদেশের অগ্রণী শিক্ষাবিদ, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের অনুবাদক, লেখক ও গবেষক।

জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের কলকাতায়। দেশভাগের যন্ত্রণা তাঁকেও বইতে হয়েছে। ৪৭-এর দেশভাগের পর তাঁর পরিবার বাংলাদেশের খুলনাতে আসেন। পরে ঢাকায় স্থায়ী হন। ১৯৫৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স ও ১৯৫৭ সালে এম.এ. পাস করেন। ২২ বছর বয়সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ভাষা আন্দোলন (১৯৫২), ঊনসত্তরের গণ–অভ্যুত্থান (১৯৬৯) ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

দেশ বিদেশের বহু সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। ২০১৫ সালে সাহিত্যে অবদানের জন্য ড. আনিসুজ্জামানকে বাংলাদেশ সরকার সেদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার দেয় তাঁকে। ২০১৮তে বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়। শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য তাঁকে ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ। এ ছাড়া তিনি ১৯৯৩ ও ২০১৭ সালে দুবার আনন্দবাজার পত্রিকা কর্তৃক প্রদত্ত আনন্দ পুরস্কার, ২০০৫ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি লিট ডিগ্রি এবং ২০১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী পদক লাভ করেন।

২০১৪ সালে আগরতলায় এসেছিলেন আগরতলা বইমেলা অংশ নিতে।

ছবি সৌজন্যঃ প্রথম আলো

COMMENTS