কাঞ্চণপুরে বিধায়ক-বনধকারীদের মধ্যে মিটিঙ হয়নি!

কাঞ্চণপুরে বিধায়ক-বনধকারীদের মধ্যে মিটিঙ হয়নি!

কাঞ্চণপুরে বনধ চলছে।

বনধকারী এবং বিধায়ক ভগবান দাস, ডেপুটি স্পিকার, প্রমুখের মিটিং হয়নি।

খবর লেখার সময় শ্রীকান্ত দাস’র দেহ কাঞ্চণপুরে পৌঁছাচ্ছে।

জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটির নেতা সুশান্ত বিকাশ বড়ুয়া বলেছেন, বিধায়ক-ডেপুটি স্পিকারের টিম আসেননি। কারণ তিনি জানেন না।

বিধায়ক ভগবান দাস বলেছেন, আজ মিটিং হয়নি। কারণ, শ্রীকান্ত দাসের দেহ সকালের দিকে কাঞ্চণপুরে যাওয়ার কথা ছিল, সেটা হয়নি। সেখানে আন্দোলনকারী নেতাদের উপস্থিত থাকতে হবে, তাই মিটিং হয়নি, আগামীকাল হবে।

শ্রীকান্ত দাসের ময়না তদন্ত হয় ধর্মনগর হাসপাতালে। দুপুরের পরে ময়না তদন্তের পর দেহ নিয়ে মিছিল করে রওনা দেয় কাঞ্চনপুরের দিকে।  

কাঞ্চণপুরে বনধ চলছে,  এখনও উঠেনি।

বিধায়ক বলেছিলেন, আজ বনধ উঠে যাবে।

বড়ুয়া বলেছিলেন, মিটিঙে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে।

তিনি এও বলেছিলেন, তাদের চারটি দাবিই মেনে নেয়া হয়েছে।

এক সপ্তাহ ধরে কাঞ্চণপুরে বনধ চলছে। মিজোরাম থেকে আসা রিয়াঙদের পুনর্বাসন নিয়ে এক অংশের বাঙালি এবং মিজোদের আপত্তি আছে।

২৩ বছর ধরে কাঞ্চণপুরের বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার মানুষ অস্থায়ীভাবে আছেন।

বেশ কিছুদিন ধরেই জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি বনধ, রাস্তা অবরোধ,ইত্যাদি চালাচ্ছে। প্রশাসন এসব আগাম ইঙ্গিত পেয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ। 

গতকাল পুলিশের গুলিতে একজন মারা গেছেন। একজন ফায়ারম্যান গণপিটুনির জেরে মারা গেছেন। ফায়ারম্যানকে আহত অবস্থায় গতরাতে আগরতলায় আনা হচ্ছিল। রাস্তাতে তিনি মারা যান। আজ সকালে আগরতলার ফায়ার ব্রিগেড চৌমহনীতে মৃত ফায়ারম্যানকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে তার দেহ নিয়ে যাওয়া হয় উনকোটি জেলার ডেমডুমে। সেখানে মানুষজন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তারা শোক মিছিল করেন দেহ নিয়ে। উত্তেজিত মানুষ একটি সরকারি গাড়ি এবং বাইক ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত সেখানেও।   

ত্রিপুরা পুলিশ গতকালের গণ্ডগোলের বিষয়কে আইন-শৃঙখলার বিষয় বলে উল্লেখ করে, আবেদন করেছে, তাতে যেন সাম্প্রদায়িক রঙ লাগানো না হয়। সামাজিক মাধ্যমে তেমন কিছু করা আইনত অপরাধও।

COMMENTS