সুশান্ত ঘোষের পরিবারকে তিন লাখ টাকার সাহায্য দিল ত্রিপুরা সরকার। ১৫ জানুয়ারি বড়জলা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক দিলীপ দাস এবং সদর মহকুমা শাসক যান সুশান্তের বাড়িতে লঙ্কামুড়ায়। মহকুমা শাসক অসীম সাহা সুশান্তের স্ত্রীর হাতে তিন লাখ টাকার চেক তুলে দেন।
অসীম সাহা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে এই আর্থিক সাহায্য দেয়া হচ্ছে।
বিধায়ক দিলীপ দাস বলেন, একজন উপার্জনশীল মানুষ মারা গেলে পরিবারটি নানা সমস্যায় পড়ে। সে কথা মাথায় রেখেই পরিবারটিকে সাহায্য করা হচ্ছে।
ত্রিপুরা হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের সভাপতি আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মণ জানিয়েছেন, তিন লাখ টাকা যথেষ্ট না। কমপক্ষে দশ লাখ টাকা সাহায্য করা উচিত। তাছাড়া দোষীরা যেন শাস্তি পায় সেদিকটি দেখা উচিত সরকারের।
ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশন সুশান্ত ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত একটি মামলা নিয়েছে। ১৬ জানুয়ারি থেকে তারা মামলার তদন্ত শুরু করবে।
১২ জানুয়ারি সকালে আগরতলার পশ্চিম আগরতলা থানাতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সুশান্ত ঘোষকে। আগরতলায় গত নভেম্বরে বেশ কিছু এটিএম হ্যাকিং হয়। চারজন বিদেশি নাগরিককে এই ব্যাপারে গ্রেপ্তার করে কলকাতার বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। চারজনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগরতলায় আনে ত্রিপুরা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তাদের কথা থেকে বেরিয়ে আসে, লঙ্কামুড়ার বাসিন্দা সুশান্ত ঘোষ’র দোকানে তারা মিষ্টি খেয়েছিলেন, এবং দোকানি তাদের ডলার ভাঙিয়ে দিয়েছিল। তারপর সুশান্তকেও গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। যেদিন তাকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ, পরদিনই সকালেই থানায় তাকে মৃত পাওয়া যায়। বিরোধীদলগুলি বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছে। সরকার ম্যাজেস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
ভিডিও ব্যবস্থাপনায় অভিজিৎ
আরও খবর এই নিয়েঃ
দরজার কবজার সঙ্গে ঝুলে ছিল সুশান্ত’র দেহ ?
পশ্চিম থানার লকআপে বিচারাধীন বন্দীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য, ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তদন্তের নির্দেশ
ত্রিপুরায় আইনের শাসন নেইঃ সিপি(আই)এম পলিটব্যুরো’র মানিক সরকার
আগরতলা, ত্রিপুরা
COMMENTS