দিল্লি পুলিশকে নিয়ে কড়া কথা শুনিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট । দিল্লি পুলিশ পেশাদার নয়, স্বাধীনভাবে কাজ করতে জানে না । আগে যদি এগুলি ঠিক করা হত , আজ এই দিন দেখতে হত না, সুপ্রিম কোর্টের মত।
ক্ষুব্ধ দিল্লী হাইকোর্ট । ভীষণ ভাবেই ক্ষুব্ধ ।
দিল্লীতে গত কয়েকদিনে যা চলছে , মেনে নেওয়া যায় না । আরেকটি ১৯৮৪ হতে দেওয়া যায় না । গত তিন দিনে দিল্লীতে ঘটতে থাকা হিংসার ঘটনা নিয়ে এরকমই অভিমত জানিয়েছেন দিল্লী হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলিধর ।
প্রশাসনকে আরও সতর্ক হতে হবে ।
মৃতদেহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা যাচ্ছে না । দাঙ্গাবাজরা রাস্তা আটকে রাখছে । দাঙ্গাবাজদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে হবে।
আরও বেশি সংখ্যক হেল্প লাইন চালু করতে হবে ।
বাড়ি – ঘর থেকে উচ্ছেদ হওয়া মানুষদের থাকার জন্য অবিলম্বে আশ্রয় শিবির খুলতে হবে ।
কোন ধরনের উস্কানিকে বরদাস্ত করা যাবে না ।
কেন্দ্রীয় সরকার এবং দিল্লী রাজ্য সরকারের প্রতি এরকমই এক গুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
নির্দেশ দিয়েও হাইকোর্ট সরকারের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারে নি ।
আদালতের নির্দেশ ঠিক ভাবে মানা হচ্ছে কিনা এবং আক্রান্ত মানুষরা সুবিধা পাচ্ছেন কিনা এর জন্য ‘অ্যামিকাস কিউরি’ নিয়োগের প্রস্তাবও রেখেছে হাই কোর্ট ।
‘অ্যামিকাস কিউরি’ এক বা একাধিক ব্যক্তি যাদের সহজ ভাবে আদালত বন্ধু বলা হয় । এরা স্বাধীন ভাবে কাজ করবেন এবং প্রশাসন ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে সংযোগ রক্ষা করার পাশাপাশি সমস্ত বিষয় নিয়ে আদালতকে জানাবেন ।
গত তিন দিন ধরে চলা দিল্লীর হিংসাশ্রয়ী ঘটনা নিয়ন্ত্রনে দিল্লী পুলিশের ভুমিকায় দেশের সুপ্রিম কোর্ট মোটেও সন্তুষ্ট না ।
দিল্লি পুলিশ পেশাদার নয়, স্বাধীনভাবে কাজ করতে জানে না । আগে যদি এগুলি ঠিক করা হত , আজ এই দিন দেখতে হত না, সুপ্রিম কোর্টের মত।
শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে শুনানির পরিস্থিতি নেই এখন দিল্লিতে। সিএএ নিয়ে হিংসার বলি ২০ ছাড়িয়ে গেছে। পুলিশ কারও নির্দেশ না নিয়ে কাজ করতে পারে না, তার ফলেই হিংসা ছড়িয়ে গেছে। বিচারপতি সঞ্জয় কৌল এবং বিচারপতি কে এম জোসেফ’র বেঞ্চ বলেছে আজ।
বিচারপতি জোসেফ বলেছেন, পুলিশের কাজ নিয়ে কয়েকটা কথা বলতেই হবে, যদি না বলি তবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি না। আমি এই প্রতিষ্ঠান, সংবিধান এবং দেশের প্রতি বিশ্বস্ত।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে এই সময়ে কঠিন কথা বলতে না করেন, তাতে পুলিশের মনোবল ভাঙবে। যদিও এই কথা আদালতকে থামাতে পারেনি।
আদালত মনে করে কেন্দ্র দিল্লি পুলিশকে পেশাদার করতে , আইনের শাসনে আশ্বস্ত করে তুলতে
হিংসা দমনে দিল্লী পুলিশ মোটেও পেশাদারী ভুমিকা দেখাতে পারে নি । উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নির্দেশ ছাড়াও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কী করতে হবে তাই জানে না দিল্লী পুলিশ । এরকমই অভিমত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কিষান কউল এবং কে এম জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চের ।
শাহিনবাগের সি এ এ বিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলার শুনানির সময় এই অভিমত ব্যক্ত করেছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ।
বিচারপতিদ্বয় এও মনে করেন যে দেশের রাজধানীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না এবং এরকম পরিস্থিতিতে শাহিনবাগ নিয়ে শুনানি আপাতত বন্ধ থাকবে । আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে মার্চ মাসের ২৩ তারিখ ।
COMMENTS