সুশান্ত ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে ত্রিপুরা হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেসন। সংগঠনের সভাপতি আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মণ মনে করেন, পুলিশি হেফাজতে বন্দীর আত্মহত্যার ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য না। তার বক্তব্য, পুলিশি নির্যাতনেই সুশান্ত ঘোষের মৃত্যু হয়েছে।তার দাবি, পুলিশি তদন্তে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে না। ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যাবে। প্রকৃত রহস্য উন্মোচনে বিচারবিভাগীয় তদন্ত প্রয়োজন। সরকার যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণ দেয়, সেই দাবিও করেছেন পুরুষোত্তম ।
পশ্চিম আগরতলা থানার ওসি সুব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। বলেছেন, রাত ১ঃ৩০ থেকে ৩ঃ৫৪-র মধ্যে তিনবার সুশান্ত লকআপ থেকে বাথরুমে গেছেন। বাথরুম এবং টয়লেট সিসিটিভি’র আওতায় আসে না, কারন বিষয়টি কোন মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত এবং গোপন বিষয়।
সকাল পাঁচটার কিছু পরে থানার সেন্ট্রি, বাথরুমের দরজার কবজার সঙ্গে মাফলারে ঝুলে থাকা অবস্থায় সুশান্ত ঘোষের দেহ দেখতে পান।
থানার একটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত পৌনে একটা পর্যন্ত সাইবার সেলের কর্মীরা থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
আরও খবর এই নিয়েঃ
পশ্চিম থানার লকআপে বিচারাধীন বন্দীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য, ম্যাজিস্ট্রেট লেভেল তদন্তের নির্দেশ
আগরতলা, ত্রিপুরা
COMMENTS