এন পি আর’র তথ্য গণনা কর্মীকে না দিলেও হবে

কেউ যদি মনে করেন তিনি এনপিআর-এর তথ্য সমীক্ষাকারীকে দেবেন না, তাহলে নাও দিতে পারেন। বলেছেন প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী , ত্রিপুরা সেন্সাস দপ্তরের অধিকর্তা।

বাড়ি বাড়ি সমীক্ষাকর্মীদের তথ্য না দিয়ে পরবর্তী সময়ে তিনি নিজে তা অনলাইনে আপডেট করতে পারেন।

১৬ মে থেকে শুরু হচ্ছে ত্রিপুরায় এনপিআর-এর কাজ। দেশের জন গণনার অঙ্গ এই এন পি আর।চলবে ২৯ জুন পর্যন্ত। ৪৫ দিন। এটা প্রথম ধাপ। এ সময়ে সমীক্ষা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন।

২০১০ এবং ২০১৫ সালে এনপিআর-এর যে তথ্য সংযোজিত হয়েছিল তা আপডেট করা হবে। আগের রেকর্ড নিয়েই সমীক্ষকরা যাবেন প্রত্যেকের বাড়ি।

এনপিআর-এর দ্বিতীয় ধাপ হবে সামনের বছর। বলেছেন প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী ।তার বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার এনপিআর-এর তথ্য নেবার জন্য মোবাইল অ্যাপ এবং কাগজপত্র দুটিরই ব্যবস্থা রেখেছে। ত্রিপুরায় শুধুমাত্র মোবাইল অ্যাপেই তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

ত্রিপুরা ষ্টেট লেভেল কোরডিনেশন কমিটি যার মাথায় রয়েছেন মুখ্য সচীব মনোজ কুমার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করায় ডাটা ডিজিটাইলেজেশনের সুবিধা হবে।
কারোর বাড়ি থেকেই তথ্য আপডেট করা হবে। যেখানে ইন্টারনেটের সমস্যা আছে সেসব এলাকার তথ্য পরে আপডেট হবে।

এনপিআর-এর তথ্য তুলতে সারা ত্রিপুরায় কাজ করবেন ৯০৬২ জন গণনা কর্মী । সব মিলিয়ে এই কাজে যুক্ত টিমের সদস্য সংখ্যা ১১ হাজার।

কিছুদিন আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে যে এন পি আর এর চূড়ান্ত ফরম্যাট এখনো তৈরি হয় নি যদিও প্রদীপ চক্রবর্তীর মতে ২০১০ কিংবা ২০১৫ এর তথ্য আপডেট হবে।

ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে পুরনো তথ্যাবলীকে নতুন করেই ডিজিটাইজড করতে হবে এবং এক্ষেত্রে এত বিশাল সংখ্যক তথ্য সঠিক ভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে কিনা এনিয়েও প্রশ্ন থেকে যাবে। যদি পুরনো তথ্য আপডেট করাই এন পি আর এর মূল উদ্দেশ্য হয় এবং একজন ব্যক্তি গণনা কর্মীকে তথ্য না দিয়ে নিজেই তথ্য আপলোড করতে পারেন তাহলে পুরনো তথ্যের সাথে আপলোড করা তথ্যের মৌলিক তফাত তৈরি হবার যথেষ্ট সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।

COMMENTS