ত্রিপুরার বিশালগড়ে সকালে এক মহিলার দেহ পাওয়া গেছে একটি কুয়োর মধ্যে। এলাকাটি বিশালগড় এসডিএম অফিসের কাছেই, মুড়াবাড়ি। চার/ পাঁচদিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন, এলাকার মানুষ বিভিন্নভাবে খোঁজ করার চেষ্টা করছিলেন। তিনি সাফাইকর্মী ছিলেন।
কাউন্সিলার অমর সরকারের বাড়িতে সকালে যান এক মহিলা। তিনি কাউন্সিলারকে বলেন, রাতে তাদের বাড়িতে ঝগড়া হয়েছে তার ছট ছেলে সুমন দাস এবং তার বন্ধু চন্দন দাসের মধ্যে। তারা একজন অন্যজনকে খুনী বলে দোষারোপ করছিল। তিনি এবং তার বড় ছেলে সুমনকে ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতেই, সুমন তাদের খুন করার হুমকি দেয়। ভয়ে মা সারা রাত ঘুমোতে পারেননি।
তারপর এলাকার মানুষ ধরে সুমন এবং চন্দনকে চাপ দিতেই তারা বিশালগড় এসডিএম অফিস সংলগ্ন এলাকায় একটি কুয়ো দেখিয়ে দেয়। ডাকা হয় পুলিশ। আসে প্রশাসনের লোকজন। কুয়ো থেকে পচাগলা একটি দেহ তোলা হয়।
স্বামী মারা গেছেন অনেক আগেই। ছেলেও অনেকদিন ধরে নিখোঁজ। তিনি একাই থাকতেন এলাকায়,বলেছেন সিপাহীজলা জেলার পুলিশ সুপার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী। ঘটনাটি খুন কিনা, তিনি বলেননি। সুমন এবং চন্দনকে আটক করেছে পুলিশ।
গত সপ্তাহেই আরেকজন মহিলার দেহ বাড়ির কাছেই পাওয়া গেছে এই রাজ্যে। স্ত্রী হত্যার অভিযোগ একাদিক হয়েছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ যথেষ্টই।
COMMENTS