‘দীপ জ্বেলে যাই’ এর পর ‘সপ্তপদী’ — প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সাত দাওয়াই। লক ডাউন চলবে ৩ রা মে পর্যন্ত।

‘দীপ জ্বেলে যাই’ এর পর ‘সপ্তপদী’ — প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সাত দাওয়াই। লক ডাউন চলবে ৩ রা মে পর্যন্ত।

আজ সকাল দশটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সারা দেশে লকডাউন উঠছে না। লকডাউন সারাদেশে চলবে আগামী ৩ রা মে পর্যন্ত । এর মাঝখানে ২০ এপ্রিল যে সমস্ত জায়গায় নতুন করে করোনা সংক্রমণ ঘটবে না , নতুন করে এই রোগে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে না এবং নতুনভাবে কোন হটস্পট এলাকা বাড়বে না সে সমস্ত জায়গায় সবকিছু পর্যালোচনা করে কিছু নিয়ম বিধি শিথিল করার কথা ভাবতে পারেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন । তবে অবশ্যই এই শিথিলতা বেশকিছু শর্ত সাপেক্ষে হবে। শিথিলতার ক্ষেত্রে গরিব মানুষের মূলত কৃষক এবং শ্রমজীবী যারা প্রতিদিন রোজগারের উপর নির্ভরশীল তাদের স্বার্থ এবং সুরক্ষার কথা ভাবা হবে । যদি দেখা যায় এই শিথিলতার পর নতুনভাবে ঐ সমস্ত এলাকায় করোনা সংক্রমণ আবার বাড়ছে তাহলে সাথে সাথে পুরনো অবস্থায় ফিরে যেতে হবে।

প্রথম পর্যায়ে ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ২১দিনের জন্য লক ডাউন জারি করেছিলেন। আজই ছিল লক ডাউনের শেষ দিন ।

নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভাষণের শেষ লগ্নে সারা দেশবাসীকে সাতটি বিষয় অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানান । তাঁর মতে এই সপ্তপদী আমাদের আগামী দিনে করোনা যুদ্ধ জয়ে মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে ।

প্রধানমন্ত্রীর সপ্তপদী দাওয়াই এরকম-

১. বাড়ির বয়স্ক এবং বিভিন্ন রোগে ভুগছেন এমন সবার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া, কোনও পরিস্থিতিতে তারা যাতে বাড়ির বাইরে বের না হন সেদিকে নজর রাখা ।

২. লক ডাউন চলার সময়ে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স অবশ্যই মেনে চলা

৩.ঘরে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করা। দেশের আয়ুস মন্ত্রনালয় থেকে অনাক্রম্যতা তথা ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য যে সমস্ত বিধি অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে সেগুলো পালন করা।

৪.আরোগ্য সেতু মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করা এবং বন্ধুবান্ধব , আত্মীয় পরিজন সবাইকে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে উৎসাহিত করা।

৫. প্রত্যেক পরিবারের উচিত তার জানাশোনা কোনো গরিব পরিবারকে সহায়তা করা , বিশেষ করে খাদ্যসংকটে যাতে কেউ না থাকেন তা সুনিশ্চিত করা।

৬. বিভিন্ন ব্যবসা এবং উদ্যোগের যারা মালিক এই সময় তাদের সহকর্মীদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করা। কোনও কর্মীকেই চাকরি থেকে ছাঁটাই না করা ।

৭.সারা দেশে যারা ফ্রন্টলাইনে থেকে করোনা মোকাবেলা করছেন যেমন বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মী , সাফাই কর্মী , চিকিৎসক , প্রশাসনিক ব্যবস্থার সাথে যুক্ত ব্যক্তি , পুলিশ প্রশাসন সবার প্রতি যথাযোগ্য সম্মান এবং শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা

COMMENTS