হুইল চেয়ারে বসেই চিকিৎসার অপেক্ষায় থাকা আটাত্তরের মানুষের মৃত্যু !

হুইল চেয়ারে বসেই চিকিৎসার অপেক্ষায় থাকা আটাত্তরের মানুষের মৃত্যু !

শ্বাসকষ্ট নিয়ে  আসা একজন আটাত্তর বছরের মানুষ চিকিৎসার অপেক্ষায়  থেকেই মারা গেছেন। মারাত্মক এই অভিযোগ ত্রিপুরার গোমতী জেলা হাসপাতালের দিকে।

ক’দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। রবিবারে শ্বাসকষ্ট বাড়াবাড়ি হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে আসেন। এন্টিজেন টেস্টে কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েন। সাথে এসেছিলেন ছেলে, তার টেস্টও হয়, তিনিও পজিটিভ ।

অবস্থা যা ছিল, তাতে তাকে রেফার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।  রেফার করার প্রক্রিয়া  করতে করতেই তিনি মারা গেছেন।

তার ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল, সমস্যা ছিল কিডনিরও।

জানা গেছে প্রশাসনের একটি সূত্র থেকেই।

 

হুইলচেয়ারে বসা, মাথা ঝুঁকে পড়েছে, হাত কোলে রাখা , একটি পা মাটি থেকে সামান্য উপরে, পাশে আরেকটি হুইল চেয়ারে বসা ছেলে। এই রকম একটি ছবিও দেখা গেছে।

 

চিকিৎসার অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষণ হুইলচেয়ারেই ছিলেন তিনি। রেফার করে আগরতলার জিবিপি হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া সারতে সারতেই তিনি মারা যান বলে শোনা গেছে।

ছেলেকে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

গোমতী জেলা শাসককে এই ব্যাপারে ম্যাসেজ করা হয়েছিল, কোনও সাড়া এখনও পাওয়া যায়নি।

 

পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় আরও চারটি কোভিড কেয়ার সেন্টার চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রবিবারেই এই ব্যাপারে নোটিশ জারি হয়েছে। চারটি সেন্টার মিলিয়ে মোট আড়াইশো জনকে রাখা যাবে।

পশ্চিম জেলায় কোভিড পজিটিভদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতেই এই ব্যবস্থা। জেলা শাসক ডাঃ সন্দীপ মাহাত্মে মেমোতে সই করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের সাথে লকডাউন নিয়ে কথা বলার সময় বলেছেন, বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার পর এন্টিজেন টেস্ট হলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে, তবে তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

সদর মহকুমায় কো-অপারেটিভ ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে ৬৫ জনের একটি, জিরানিয়ায় খুমুলুঙে দু’টি, একটিতে ৬০ ও একটিতে ৬৫ জন রাখা যাবে, এবং মোহনপুরের হেজামারা প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে ৬০ জনের একটি কোভিড কেয়ার সেন্টার খোলা হচ্ছে।

COMMENTS