আরটিপিসিয়ার-এ নেগেটিভ, এন্টিজেনে পজিটিভ!

আরটিপিসিয়ার-এ নেগেটিভ,  এন্টিজেনে পজিটিভ!

ত্রিপুরায় কোভিড চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ প্রতিদিনই জোরালো হচ্ছে।

কোভিড টেস্ট নিয়েও একটা/দু’টো অভিযোগ ছিল।

এখন একই জনের পজিটিভ এবং নেগেটিভ ফল আসার খবর পাওয়া গেছে।

 

ত্রিপুরার উত্তরে এক ফরেস্ট অফিসার কোভিড পজিটিভ বলে শনাক্ত হয়েছেন। তার পরিবারের সদস্যরাও পজিটিভ। তারা সবাই হোম আইসোলেসনে আছেন।

সেই অফিসার  ৩১ আগস্ট একবার স্যাম্পেল দেন,  সেটা আরটিপিসিআর টেস্টের জন্য পাঠানো হয়। ফলাফল আসতে কয়েকদিন দেরি হবে।   তার জ্বর, ইত্যাদি লক্ষণ ছিল। তার পরিবারের একজন সদস্যেরও লক্ষণ দেখা দেয়। পরদিন,  ১ সেপ্টেম্বর পরিবারের সদস্যদের কোভিড টেস্ট করা হয় একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে , সেটি এন্টিজেন টেস্ট। সেদিন সেই অফিসারেরও আরেকবার টেস্ট হয়। এন্টিজেন টেস্ট-এ সেই অফিসারসহ তার পরিবারের আরও দু’জনের টেস্টের ফল পজিটিভ আসে। তারা হোম আইসোলেসনে যান, ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ, ইত্যাদি খেতে থাকেন।

তারপর একদিন, ৪ সেপ্টেম্বর  সেই অফিসারের আরটিপিসিআর টেস্টের ফল আসে, সেখানে তিনি নেগেটিভ।

তার এবং তার পরিবারের একজনের জ্বর, ইত্যাদি লক্ষণ আছে, স্বাদ-গন্ধ অনুভূতি নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি ধন্দে পড়ে যান। যদিও তারা হোম আইসোলেসনেই থাকেন, এখনও আছেন। ডাক্তারের পরামর্শ মত ওষুধও খাচ্ছেন। একজনের একদিন শ্বাসকষ্টের কিছু সমস্যাও হয়েছিল, তবে তা কমেছে। সেই অফিসারের উচ্চ রক্তচাপ, ইত্যাদি অন্য শারীরিক অসুবিধাও আছে।

” আমি দু’রকম রিপোর্ট পেয়ে কনফিউসড হই। পাজলড হয়ে পড়ি। আমি  চিকিৎসকদের  সাথে কথা বলেছি, তাদের মতামতও এই যে এন্টিজেন টেস্টে নেগেটিভ আসা কারও স্যাম্পেল আরটিপিসিআর টেস্টে পজিটিভ আসতে পারে, এই আরটিপিসিআর বিষয়টা গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড,” ফোনে বলেছেন তিনি। ” যেহেতু আমাদের লক্ষণও ছিল, আমার নিজের বেলায় একটি পজিটিভ,  একটি নেগেটিভ হলেও, অন্যদের এন্টিজেন টেস্টই হয়েছে, এবং তা পজিটিভ। নিয়ম আমাদের মানতেই হত। যাদের আওতায় আছি, তাদেরও অভিমত তাই। তাছাড়া অন্য কাউকে সংক্রমিত করার অপরাধ করতে পারি না,” তিনি বলেছেন।

তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে চিঠি দিতে পারেন বলে জানা গেছে।

 

আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ’র মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের আওতায় থাকা আইসিএমআর/ডিএইচআর প্রজেক্টের  ভাইরাস রিসার্চ এণ্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি (ভিআরডিএল) নেভেটিভ রেজাল্ট দিয়েছে।

সেদিনের সেই তালিকায় ১১১ জনের ফলই নেগেটিভ।  তবে ঊনকোটি জেলায় এন্টিজেন টেস্টে প্রতিদিনই পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে।

সেই মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের ডাঃ তপন মজুমদারকে, তিনি এই প্রজেক্টে আছেন,  ফোনে না পাওয়ার পর, ওয়াটসঅ্যাপে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আগের দিন দেয়া স্যাম্পেলে আরটিপিসিআর-এ নেগেটিভ , পরদিনের স্যাম্পেলে এন্টিজেন টেস্টে পজিটিভ,  এটা হতে পারে কিনা।

তার কাছে এই জিজ্ঞাসা ৭ সেপ্টেম্বর রাখা হয়েছিল। এখনও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি, পাওয়া গেলে, তা এখানে যোগ করা হবে।

 

COMMENTS