লকআপে সুশান্ত ঘোষের মৃত্যু – সিসি টিভি ফুটেজ কি জট খুলে দেবে?

 

পশ্চিম আগরতলা থানায় গেলেন পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা শাসক সন্দীপ মাহাত্মে।

সুশান্ত ঘোষ মৃত্যুর ম্যাজেস্ট্রিয়াল তদন্ত করছেন তিনি।সাংবাদিকদের জেলা শাসক বলেছেন, সুশান্ত ঘোষের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চলছে। নেশন্যাল হিউম্যান রাইটস কমিশন থেকে দু’মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।

সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে যে চারজন পুলিস কাস্টডিতে ছিল তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজ চলছে। অন্য কাগজপত্রও দেখা হচ্ছে। প্রমান সংগ্রহের কাজ চলছে। ফরেনসিক রিপোর্ট আসছে।

১২ জানুয়ারি ত্রিপুরার পশ্চিম আগরতলা থানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল সুশান্ত ঘোষকে। আগরতলায় গত নভেম্বরে বেশ কিছু এটিএম হ্যাকিং হয়। চারজন বিদেশি নাগরিককে এই ব্যাপারে গ্রেপ্তার করে কলকাতার বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। চারজনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগরতলায় আনে ত্রিপুরা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তাদের কথা থেকে বেরিয়ে আসে, লঙ্কামুড়ার বাসিন্দা সুশান্ত ঘোষ’র দোকানে তারা মিষ্টি খেয়েছিলেন, এবং দোকানি তাদের ডলার ভাঙিয়ে দিয়েছিল। তারপর সুশান্তকেও গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। যেদিন তাকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ, পরদিনই সকালেই থানায় তাকে মৃত পাওয়া যায়। এ নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন বিরোধী দল গুলো। রাজ্য সরকার ম্যাজেস্ট্রিয়াল তদন্তের নির্দেশ দেয়। আগরতলার বিভিন্ন এটিএম হ্যাকিং’র ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সুশান্ত ঘোষকে।

সুপ্রীম কোর্ট ২০১৫ এর জুলাই মাসে এক যুগান্তকারী রায়ে দেশের আৰ থানাতেই সি সি টিভি রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য থানার লক আপে অভিযুক্তদের ওপর পুলিশি অত্যাচার হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে তথ্য প্রমাণ রাখা। সুশান্ত ঘোষ মৃত্যর ক্ষেত্রেও থানার সিসি টিভি ফুটেজ অন্যতম প্রমাণ । জেলাশাসকের বক্তব্য সেই ফুটেজ , ‘কালেক্ট কর রাহে হ্যায়’ , মনে হতেই পারে এখনো ফুটেজ সংগ্রহ করা যায় নি।

আগরতলা, ত্রিপুরা

COMMENTS