লাকি শ্রীবাস্তব ফুটবল টুর্নামেন্ট জিতল এএসইবি

২৩ তম লাকি শ্রীবাস্তব ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলো আসাম স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড ।এই প্রতিযোগিতার আয়োজক ওএনজিসি। ত্রিপুরায় এই প্রাইজমানি ফুটবল টুর্নামেন্ট ক্রীড়ামোদীদের মধ্যে যথেষ্ট উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কিক অফ করে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেছিলেন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক।

আগরতলার উমাকান্ত স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে গত কাল আসাম স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড ১-০ গোলে কলেজ ভেঙ স্পোর্টস ক্লাবকে হারায় । জয়ী দল পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে পায় চার লাখ টাকা এবং রানার্সআপ দল পায় দুই লক্ষ টাকা।

যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনাল জিতে নেয় ইলেকট্রিসিটি বোর্ড। আক্রমণ এবং প্রতি আক্রমণে ফাইন্যাল খেলা জমে উঠেছিল।আক্রমণ এবং রক্ষণের যুগলবন্দীতে এগিয়ে ছিল ইলেকট্রিসিটি বোর্ড।

জয়ী দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন নারজারী। পুরো টুর্ণামেন্টে তিনি গোল করেছেন এগারটি। তাকেই টুর্নামেন্টের ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট ঘোষণা করা হয়। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছেন জামবলা ব্রহ্ম।

পুরো খেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে স্পোর্টস ক্লাব বেশ কয়েকটি আক্রমণ গড়ে তুললেও সঠিক ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলের মুখ দেখতে পায়নি।

মুহুর্মুহু আক্রমণ আছড়ে পড়েছিল স্পোর্টস ক্লাবের ডিফেন্সে । স্পোর্টস ক্লাবের ডিফেন্ডাররা যথেষ্ট ভালো খেললেও শেষরক্ষা করতে পারেনি।

আজকের ফাইনাল ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা।

তিনি তার বক্তব্যে রাজ্যের উন্নতিতে ওএনজিসি’র বিভিন্ন কর্মসূচির প্রশংসা করেন।

ওএনজিসি আগরতলার এসেট ম্যানেজার ও পি সিং তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন সম্প্রতি ওএনজিসি এই টুর্নামেন্টের প্রাইজমানির পরিমাণ বাড়িয়েছে। তিনি আশা ব্যক্ত করেন যে আগামী দিনে আরও ভাল দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে । আগামী দিনে ওএনজিসি মহিলা ফুটবলের উন্নতিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করবে বলেও তিনি জানান।

১৯৯২ সালে দুজন ওএনজিসি আধিকারিক জাস্টিন লাকি এবং এস কে শ্রীবাস্তব উগ্রপন্থিদের হাতে নিহত হন । তাদের স্মৃতিতে শুরু হয়েছিল এ প্রতিযোগিতা । ত্রিপুরার ফুটবল আঙ্গিনায় লাকি শ্রীবাস্তব টুর্নামেন্ট যথেষ্ট উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি করে আসছে।

অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনও এই টুর্নামেন্টকে স্বীকৃতি দিয়েছে ।ত্রিপুরা , আসাম , মনিপুর , মিজোরাম থেকে মোট দশটি দল এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল ।

COMMENTS