করোনা পরিস্থিতিতেও গণেশ পূজা হচ্ছে । ভিড়ে নেই শারিরীক দূরত্ব।

গণেশ পূজা হচ্ছে নানা জায়গাতেই । রাস্তার ধারে প্যান্ডেল করেই হচ্ছে পূজা। কয়েক বছর ধরেই ত্রিপুরাতে গণেশ চতুর্থীর পূজা সর্বজনীন রূপ নিচ্ছে।

ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায়ও তা হচ্ছে।

অস্বাভাবিক পরিস্থিতি এ বছর। করোনার জন্য স্বাভাবিক অনেক কিছুই বন্ধ আছে, বা নিয়মিত নমুনায় চলছে না।

 

গণেশ পূজার প্যান্ডেলে মানুষ ভিড়ে করেছেন,  উড়ে গেছে কোভিড ওয়ান নাইন-র  শারীরিক দূরত্ব রাখার নিয়ম।

 

রাস্তার পাশে এইসব পূজার সরকারি অনুমতি আছে কিনা, তা জানা যায়নি।

জানতে পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা শাসকে ফোন করা হয়েছিল, পাওয়া যায়নি। ওয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করা হয়েছে, সেখানেও জবাব পাওয়া যায়নি।

পুলিশের কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছিল একই জিনিস। মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেছেন, প্যান্ডেল,ইত্যাদির অনুমতি জেলা প্রশাসন দিয়ে থাকে, সেটা তিনি জানেন না, তবে ‘গ্যাদারিং’ হতে দেয়া যাবে না।

সেই আধিকারিক বলেছেন, বহুদিন ধরে চলে আসা এসব সাংস্কৃতিক বিষয়ে একটু ব্যালেন্স করে নিতে হয়, নইলে ‘কালাচারাল ব্যাকল্যাস’র সম্ভাবনা থাকে। তবে কোভিড ওয়ান নাইন নর্ম যেন ঠিক থাকে , তা দেখতে হবে।

 

কোভিড ওয়ান নাইন সংক্রমণ আটকাতে দেশজুড়ে লকডাউনের পর, ত্রিপুরাতে বিশেষ লকডাউনও হয়ে গেছে দুই দফায়। একবার সীমান্ত অঞ্চলে, আর একবার পুরো রাজ্যেই। কোভিড মৃত্যু হারে উত্তরপূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরাই সবার আগে। সংক্রমণ আটকাতে এখনও নান বিধি-নিষেধ আছে। সভা আয়োজন, রাজনৈতিক, ধর্মীয় কিংবা বিনোদনমূলক বিষয়ে নিষেধ আছে। সৎকারে কুড়ি জন, বিয়ের মত বিষয়ে অনুমতি নিয়ে পঞ্চাশজন থাকতে পারেন।

অন্তত রাজধানী আগরতলাতে কোনও রাজনৈতিক কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না, ইদানিংকালে বিরোধীদের ডাকা বেশ কয়েকটি প্রোগ্রামে পুলিশ বাধা দিয়েছে , গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে নেতা-কর্মীদের।

‘১০৩২৩’ শিক্ষকদের একটি অংশকে পোস্টার সাঁটতেও বাধা দিয়েছে পুলিশ দিন দুয়েক আগে। তার আগে একবার সার্কিটহাউজের কাছে গান্ধীমূর্তি পাশ থেকে এই শিক্ষকদের আরেকটি অংশের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে গলায় পোস্টার ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সময়। একজনকে আদালতেও পেশ করা হয়েছিল পরদিন, যদিও সেদিনই তার জামিনও হয়।

 

কোভিড’র কারণে  এক আসন্ন প্রসবা মা-কে হাসপাতালের ওয়ার্ডেই নেয়া হয়নি, গাড়িও ছিল না অন্য হাসপাতালে পৌঁছে দেয়ার, শিশু ও প্রসূতি হাসপাতালের চাতালেই জন্ম দিয়েছেন শিশুর। পরে তাকে সেই হাসপাতালেই নেয়া হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এমন হয়েছে, ভয় পান মানুষ,  বলেছেন সেই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজেপি বিধায়ক ডাঃ দিলীপ দাস ।

 

ধর্মের ভিড়ে সে  ভয় থাকে না, সেই ভিড়ে দূরত্ব নেই বলে পুলিশও কথা বলে না, ছবি অন্তত তাই বলছে।

COMMENTS